আবেগ সম্পর্কে সাধারন কিছু কথা যা আমাদের সবার জানা দরকার
আবেগ কে আসলে সংজ্ঞায়িত করা একটু কঠিন । কারন আবেগকে অনেকে অনুভূতির সমার্থক হিসেবেই ধরে নেয় । যদিও অনুভূতি শারিরীক বা মানসিক দুই প্রকারই হতে পারে । তবে আবেগ হল মূলতঃ মানসিক অবস্থা । এটা এমন একটি মানসিক অবস্থা যা স্বতঃস্ফূর্তভাবেই উদ্ভূত হয় কিন্তু সচেতন উদ্যম থেকে তা কখনোই আসেনা । তবে এর সাথে মাঝে মাঝে শারিরীক পরিবর্তনও প্রকাশ পায় । সেক্ষেত্রে আবেগকে বলা যায় অণুভূতির একটি উৎস ।
আবেগ আর অনুভূতি আমার মতে একই রকম। আজ আমার যেমন লাগছে, আজ আমার মন যত খারাপ, আগামীকাল হয়তো অন্য কারো একই রকম হতে পারে। পার্থক্য শুধু একটি ক্ষেত্রে আর তা হল “প্রকাশ ভঙ্গি”। প্রকাশের ভিন্নতা আলাদা হলেও ভালোবাসা ভালবাসাই, বিরহ বিরহই আর কষ্ট কষ্টই থেকে যায় অন্যকিছু হয় না।
আবেগ কে আসলে সংজ্ঞায়িত করা একটু কঠিন । কারন আবেগকে অনেকে অনুভূতির সমার্থক হিসেবেই ধরে নেয় । যদিও অনুভূতি শারিরীক বা মানসিক দুই প্রকারই হতে পারে । তবে আবেগ হল মূলতঃ মানসিক অবস্থা । এটা এমন একটি মানসিক অবস্থা যা স্বতঃস্ফূর্তভাবেই উদ্ভূত হয় কিন্তু সচেতন উদ্যম থেকে তা কখনোই আসেনা । তবে এর সাথে মাঝে মাঝে শারিরীক পরিবর্তনও প্রকাশ পায় । সেক্ষেত্রে আবেগকে বলা যায় অণুভূতির একটি উৎস ।
শারীরিক ভাবো বলতে গেলে মসৃন পেশী এবং বিভিন্ন গ্রন্থির কারনে শরীরের অন্তর্নিহিত পরিবর্তনই হল আবেগ । সামগ্রিকভাবে, চেতনার যে অংশ অনুভূতি বা সংবেদনশীলতার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকে তাকে আবেগ বলা যায় । শরীরের বিভিন্ন গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত রাসায়ানিক উপাদানগুলো বিভিন্ন আবেগ বা অনুভূতির সময় সক্রিয় হয় এবং তা রক্ত, স্নায়ুতন্ত্র এবং অন্যান্য তন্ত্রের মাধ্যমে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে ।
মস্তিষ্ক আমাদের শরীরের সবচেয়ে জটিল একটি অঙ্গ যা আমাদের সকল আবেগ বা অনুভূতির কেন্দ্রস্থল হিসেবে কাজ করে । যদিও সবসময় মনে হয় আমাদের সব আবেগ বা অনুভূতি থাকে বুকের বামপাশে । মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের জন্য বিভিন্ন সময়ে আমাদের বিভিন্ন আবেগ বা অনুভূতির সৃষ্টি হয় । কাউকে দৃষ্টিকটু অথবা ভালবাসার চোখে একটু আলাদাভাবে দেখতে গেলে চোখের পিউপিল এবং লেন্সের মধ্যে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ঘটানোর কাজ নিয়ন্ত্রন করে মধ্যমস্তিষ্কের কর্পোরা কোয়াড্রিজেমিনা ।
আবেগ বা অনুভূতি পৃথিবীর সৃষ্টিলগ্ন থেকে একই রকম। শুধুমাত্র স্থান, কাল ও পাত্র বিশেষে আবেগ বিভিন্ন রকম হয় । আমার আবেগ ও আপনার আবেগ কি একই রকম? তা কিন্তু অবশ্যই না । তার কারন প্রথমেই বলেছি স্থান, কাল ও পাত্র বিশেষ। আর এটি একটি অনুমিত শর্ত হিসাবে কাজ করে । এই অনুমিত শর্ত সাপেক্ষে সকলের আবেগ বা অনুভূতি একই রকম হয় শুধুমাত্র প্রকাশ ভঙ্গিটা ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকের হয়ে থাকে ।
ভালোবাসা একটি আপেক্ষিক ব্যাপার। কিন্তু ভালোবাসা সবার ক্ষেত্রেই একই রকম হয় । কষ্টও একই রকম হয় আবার আনন্দও ঠিক একই রকম হয়ে থাকে । তাহলে কেন অপরপক্ষ ঠিক আমার মত করে বা আপনার মত করে আপনাকে অনুভব করতে পারে না? আনন্দ ও কষ্ট প্রকাশ করতে পারে না? তাহলে বলা যায় এর মধ্যে ভিন্নতা কিছু না কিছু অবশ্যই আছে। আর সেই ভিন্নতাটা হল দৃষ্টিশক্তির, চেতনার ও বোধের পরিবর্তন । একই বিষয়কে ভিন্ন ভিন্ন জ্ঞানে আর ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশে ভিন্নতর ভাবে প্রকাশ করা হয়।
কোন একজন প্রেমিক পুরুষ তার প্রেমিকাকে তার ভালোবাসার কথা কোন ক্রমেই বলতে পারছে না । কারণ বলতে গেলে তার ভেতরে আসছে বিভিন্ন রকমের বাঁধা । কারন ছেলেটির কাছে মেয়েটি তার প্রেমিকা। কিন্তু মেয়েটির কাছে কি ছেলেটি এরকম কোন কিছু ছিল? আর তাই প্রেমিক পুরুষটি লিখেছিল তার প্রেমিকাকে-
"আমার মত করে আমাকে কেউ না বুঝলে আমার খুব কষ্ট হয়, নিজেকে মানাতে পারি না। তুমি খুব ভালো করেই জানো আমি তোমাকে কতটুকু ভালোবাসি, আর ভালোবাসি তোমার অনেক কিছুই। এটা তুমি খুব ভালো করেই অনুভব করেছ কিন্তু তুমি এসব কিছুই বলতে নারাজ। মনে আছে একদিন তুমিই বলেছিলে আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে, সেদিন কিন্তু আমি সিদ্ধান্ত নেইনি। তার কারণ আমি জানতাম ভালোবাসার বা অধিকারের সম্পর্কে একক সিদ্ধান্ত কার্যকর নয়। আর যদি অধিকারের কথা বলি তাহলে অপরদিকে ছাড় দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। তার জন্যে দরকার সুষ্ঠু মস্তিষ্কের ঐক্যমত্যের সিদ্ধান্ত। তার মানে হল কে কতটুকু ছাড় দিচ্ছি বা দেবো। কিন্তু আমরা সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পেরে সবকিছু জটিল করে তুলেছি, এক্ষেত্রে আমার অপারগতাকেই আমি দায়ী করছি।"
আবেগ আর অনুভূতি আমার মতে একই রকম। আজ আমার যেমন লাগছে, আজ আমার মন যত খারাপ, আগামীকাল হয়তো অন্য কারো একই রকম হতে পারে। পার্থক্য শুধু একটি ক্ষেত্রে আর তা হল “প্রকাশ ভঙ্গি”। প্রকাশের ভিন্নতা আলাদা হলেও ভালোবাসা ভালবাসাই, বিরহ বিরহই আর কষ্ট কষ্টই থেকে যায় অন্যকিছু হয় না।
আবেগ স্পর্শ হীন বস্তু, অদৃশ্য বস্তু, গন্ধহীন বস্তু কিন্তু এর একটা স্বাদ আছে, যা সবাই উপভোগ করে। কিন্তু আবেগ দিয়ে কি সব কিছু হয়? কখনোই তা হয় না। কারন বাস্তব যে বড়ই অন্য রকম একটা জিনিস, যা শুধুই হাসায় অথবা শুধুই কাঁদায়। তবুও আবেগকে লালন করে সবাই বেড়ে ওঠে। আবেগ আছে বলেই মানুষ আজও বেঁচে আছে। আর মানুষ আছে বলেই পৃথিবী আজও টিকে আছে। সুতরাং আবেগকে নিয়ন্ত্র করা কঠিন হলেও তা আমাদের সবার করা উচিত।
1 comment:
খুবই ভালো হয়েছে যিনিই লিখেছেন তাকে
অসংখ্য ধন্যবাদ ❤
Post a Comment